এবার কি ধনী হয়ে জাবে পাকিস্তান....


 

✅ সম্ভাবনা রয়েছে

পাকিস্তানের স্বর্ণসামগ্রী বা খনিজ সম্পদের সম্ভাবনা ধীরে ধীরে আবারো সামনে এসেছে। উদাহরণস্বরূপ, Reko Diq খনিতে সোনার ও তামার বড় মাত্রার রিসার্ভ পাওয়া গেছে। 

Wikipedia

+2

Wikipedia

+2

২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের সরকারি “সোনার রিজার্ভ” হিসেবে USD ~ 5.85 বিলিয়ন হয়েছে। 

CEIC Data

“গোল্ড রিজার্ভ” হিসেবে দেখা যায় এখনো মাত্র ~ 64.75 মেট্রিক টন। 

Trading Economics

+1

আবার, সম্প্রতি বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পাকিস্তানের খনিজ ও খনির ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। 

AP News

+1


❗ বড় চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি

রিজার্ভ আছে বলেই “স্বর্ণের কারণে ধনী হয়ে যাওয়া” নয়। রিজার্ভ থেকে উৎপাদন, বিক্রয়, রপ্তানি, খরচ ও কর প্রভৃতি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

খনির কাজ শুরু করা, পরিবেশ-সামাজিক ঝুঁকি, আইন-বিধি, নিরাপত্তা ইত্যাদি সবই বাস্তব বাধা। যেমন, Reko Diq-এর ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ঝামেলা রয়েছে। 

AP News

+1

পাকিস্তানের অর্থনীতিতে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে — ঋণ, বৈদেশিক রিজার্ভ কম থাকা, মুদ্রাস্ফীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা। যেমন: “Total reserves (includes gold)” তথ্য দেখায় বেশ সীমাবদ্ধ অবস্থায় আছে। 

World Bank Open Data

শুধুই খনিজ রিজার্ভ বাড়লেই অর্থনীতি সুগঠিত হয় না — নানা অবকাঠামো, দক্ষতা, বাজার সুযোগ, আন্তর্জাতিক মূল্যে ওঠানামা সব কিছু বিবেচনায় রাখতে হবে।


🧮 তাহলে কি হওয়া সম্ভব?

হ্যাঁ — যদি পাকিস্তান উপরের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা পারে এবং কার্যকরভাবে খনিজ উৎপাদন, রপ্তানি, বিনিয়োগ ব্যবস্থা করতে পারে — তাহলে স্বর্ণসহ খনিজ সম্পদ একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে অর্থনৈতিক উন্নয়নে। কিন্তু তা “আহ্ তা সভ কে ধনাধ্য” হওয়া মানে নয় — সময় লাগবে, সুযোগ ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.