প্রে*গ*ন্যান্ট কর দেখবি উল্টো সে তোকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে।


 “প্রে*গ*ন্যান্ট কর দেখবি উল্টো সে তোকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। ”

“ ছিঃ, আমি ওকে সত্যি সত্যিই ভালবাসি। আমার যথেষ্ট বিয়ের বয়স হয়েছে। চাকরীও করি। কিন্তু কেনো যে মেয়েটা বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না! একটা উপায় বল না। ”

“ এ ভাই তুই কোন জগতে বসবাস করিস? আমি কী বলেছি তুই মিথ্যা মিথ্যা ভালবাসিস? সত্যি সত্যি ভালবাসিস বলেই তো প্রে*গ*ন্যান্ট করবি। আর প্রে*গ*ন্যান্ট হলেই তো তাড়াতাড়ি বিয়ে। এর চেয়ে ভালো উপায় আর নেই। ”

বেশ চিন্তায় পড়ে গেলো রবিন। গম্ভীর মুখে বললো। 

“ আমি ওকে চিনি রে। কোনোদিন ওসবে রাজি হবে না। ”

রাজিব বিরক্ত হলো। 

“ ধুর কচু। কোন মেয়েটাই প্রথমে রাজি হয়? তোকে রাজি করাতে হবে। জোর করে হলেও। ”

“ তুই বলছিস? দেখ তুই আমার কলিজার বন্ধু। তুই যা বলবি তাই হবে। ”

“ এখন কী স্ট্যাম্প পেপারে সই করে দিতে হবে? ” 

রবিন আর কথা বাড়ালো না। মেয়েটাকে সে বিয়ে করতে চায়। দ্রুতই বিয়ে করতে চায়। রবিনের মা'ও মেয়েটাকে চিনে। পছন্দই করে। কিন্তু মেয়েটার বিয়েতে অনীহা। 

রাজিবের কথা শুনে মনে হলো হয়তো এটাই শ্রেষ্ঠ উপায়। অতঃপর মেয়েটাকে নানাভাবে ভয় দেখিয়ে। ভালবাসার দোহাই দিয়ে জোরপূর্বক বীরপুরুষের মতো সেই কাজটা করেই ফেললো! কিছুদিন পর ঠিকই রাজিবের সূত্র ফলে যায়। কাটায় কাটায়, অক্ষরে অক্ষরে। মেয়েটা এখন নিজেই বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছে। বমি বমি ভাব। মেয়েটা বুঝে গেছে তাঁর ছোট্ট পেটে আরেকটা ছোট্ট প্রাণী আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে।  

“ তুই তো মহাজ্ঞানী রে। তোর কথা ফলে গেছে। ও তো বিয়ের জন্য এখন পা*গলী হয়ে গেছে। ” 

“ আজকাল এসব জ্ঞানীরা না। মূর্খ ছাগলও বলবে। যাহোক, এক কাজ কর। তুই মেয়েটাকে বিয়ে করিস না। ”

“ ধুর, আমি ওকে ছাড়া বাঁচবো না। ওর মতো লক্ষ্মী মেয়ে দুনিয়াতে আরেকটা পাবো না। তারচেয়ে বড় কথা কোনো মেয়ের এত বড় সর্বনাশ আমি করতে পারবো না। মাকে কালকেই বলবো বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যেতে। ” 

রাজিব হাসলো। হো হো করেই হাসলো। 

“ এতো আবেগী হোস না বাচা। গিয়ে দেখ আরো কত ছেলের শ*রীরের গড়ন জানে। ”

“ বাজে কথা বলবি না। ” 

“ বাজে কথার কী আছে? যে মেয়ে বিয়ের আগে তোর সাথে শুয়েছে সে মেয়ে যে বিয়ের পর অন্য কোনো ছেলের সাথে শুবে না তার কী নিশ্চয়তা আছে? সে নোং*রা না হলে এই কাজ করতো না। ভালবাসা না ছাই। ”

“ তুই কী বলতে চাস? ”

“ তুই ওই মেয়েকে বিয়ে করিস না। বাংলাদেশে কী মেয়ের অভাব? পে*টের বাচ্চা ন*ষ্ট করত বল। ”

“ এই কথা বললে ও মরেই যাবে। ” 

“ মরুক, দুনিয়া থেকে একটা পরোক্ষ প*তিতা কমবে। ” 

রবিন এই কথার কী জবাব দিবে বুঝে উঠতে পারলো না। মাথা কুঁচকে কুঁচকে চলে আসলো। রাতভর রাজিবের কথাটা মাথায় ঘুরতে থাকে। ভাবে হয়তো সে ঠিকই বলেছে। মেয়েটার অস্থিরতা বাড়তেই থাকে। 

রবিন আর কোনো খোঁজ নেয় না। শেষমেশ রবিন ঠিকই অন্য আরেকটা মেয়েকে বিয়ে করছে আজকে। ধুমধাম করেই বিয়ে করছে। নিজের বন্ধুর বিয়েটা খুব উপভোগ করছে রাজিব। 

পেটের বাচ্চাটা আর দুনিয়ার মুখ দেখতে পারলো না মেয়েটার। তাঁকে পে*টে নিয়েই ফ্যানের সাথে নিজের শ*রীরটা দুলিয়ে দিলো! 

তার আগে মৃ*ত্যু পত্রে লিখে যায়, তোমার নতুন বৌকে কমপক্ষে তাঁর পেটের বাচ্চাটা নষ্ট করতে বলো না, সে অনেক কষ্ট পাবে। আমি চাই তুমি বাবা হও রবিন! 

রাত্রি দ্বিপ্রহর। 

সবাই প্রায় ঘুমিয়ে গেছে। রাজিব আজকে নেচেছে। হালকাপাতলা নেশাও করেছে। হেলেদুলে নিজের খাটে গা হেলানোর পরে খেয়াল করলো মাথার উপরে কী যেন ঝুলে আছে! 

নেশা কেটে গেলো। ভালোভাবে চেয়ে দেখলো মাথার উপরে আর কিছু নয়, আদরের বোনটা ঝুলছে! চিৎকার দিতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলো! পাশের ঘর থেকে মা আসলো। কিছুক্ষণের ভেতর পুলিশও আসলো! 

সকালে রাজিবের হাতে কে যেন সুইসাইড নোটটা দিলো। পড়ে বুঝলো সে আদলে কী করেছে! পা*গলের মতো দৌড়াচ্ছে আর বলছে, আমি খুনি, আমি নিজ হাতে আমার বোনটাকে খু*ন করেছি। আমি খু*নি, আমাকে শাস্তি দাও! 

২য় পাট পড়তে ক্লিক করুন 

No comments

Powered by Blogger.