‘আগামীকাল থেকেই জয়ের ধারা শুরু হবে পাকিস্তানের’


পাকিস্তান এবারের বিশ্বকাপে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেনি দল হিসেবে। যে বোলিংয়ে অনেক আশা ছিল তাদের, নিষ্প্রভ সেটিও। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা কম হচ্ছে না। তবে পাকিস্তানের সহ-অধিনায়ক শাদাব খান বাস্তবতা বুঝতে পারছেন, সমালোচনা যে হবে, সেটিও মানেন। আবার আশা করছেন, সবকিছুই বদলে যাবে তাদের। এবং সেটি শুরু হবে আগামীকাল চেন্নাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই।

দুটি ম্যাচ জিতে শুরু করলেও পাকিস্তান হেরেছে টানা তিনটি ম্যাচ। সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে গেলে বাকি ৪টি ম্যাচে জেতার বিকল্প সেভাবে নেই দলটির। এমন ম্যাচে সামনে আবার দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা। যাদের বিপক্ষে বাঁচামরার লড়াইটা শুরু হচ্ছে পাকিস্তানের।



পাকিস্তান দল যখন ফিল্ডিংয়ে থাকে, এমন দৃশ্যের দেখা মাঝেমধ্যেই মেলে!
ছবি: আইসিসি


একদিক এটি চাপ অনেকটা কমিয়ে দেবে বলেও মনে করেন শাদাব, ‘দেখুন, এটা নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দলের ওপর নির্ভর করে। আর কোনো রাস্তা নেই বলে এটা চাপ কমিয়ে দেবে বলেও মনে হয়, কারণ হারানোর কিছু নেই। হারলে তো টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকেই যাবেন। ফলে এ ম্যাচে যত ইতিবাচক ব্যাপার আনতে পারবেন, ততই লাভবান হবেন।’

এরপরই আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি, ‘আমার মনে হয় আমাদের দল (আগেও) এমন পরিস্থিতি থেকে বের হয়েছে, ভালো পারফর্ম করেছে। আশা করি আগামীকাল থেকে জয়ের ধারা শুরু হবে আমাদের।’

এমন আশার কথা শাদাব বলেছেন তাঁদের বোলিং আক্রমণ নিয়েও। বিশেষ করে পাকিস্তানের পেস বোলিং আক্রমণ নিয়ে আশার কথা শোনাতে হয়েছে তাঁকে। শাহিন শাহ আফ্রিদির ১ ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়া ছাড়া তেমন কোনো পারফরম্যান্স নেই এখন পর্যন্ত, হারিস রউফও সেভাবে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছেন না।


ভারতের কাছে হারের পর হতাশ পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়েরা। কিন্তু এই হারের জন্য অসুস্থতাকে দুষছেন না শাদাব
ছবি: এএফপি


শাদাব বলছেন, পেসারদের ওপর আস্থা রাখছেন তাঁরা, ‘দেখুন, এই ফাস্ট বোলাররা বেশ ভালো পারফর্ম করেছে গত কয়েক বছরে, যেখানেই খেলুক। তাদের ওপর আমাদের আস্থা আছে। ব্যাটার হোন বা বোলার, পেশাদার খেলায় সবাইকে এমন পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়। তারা অমন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তবে ভাবনার ব্যাপার হলো সবাই একসঙ্গে এমন কিছুর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কেউ ভালো ফর্মে থাকলে অবস্থাটাও ভালো হতো। তবে দল হিসেবেই ভুগছি আমরা। আশা করি, কাল থেকে এটি বদলাবে, সবাই ঠিক পথে ফিরবে। আশা করি, কাল থেকেই এটি শুরু হবে।’

স্বাভাবিকভাবেই দলের এমন অবস্থায় প্রচুর সমালোচনাও সামলাতে হচ্ছে শাদাবদের। সেটি কীভাবে করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে শাদাব বলেছেন, ‘কাজটা সহজ, যদি আপনি তাদের কথায় কান না দেন। আমি সব সময়ই খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলি, কারণ এমন টুর্নামেন্টে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ, আপনি পারফর্ম করতে পারলে সবাই বলবে—সে ভালো করছে অনেক, সে এটা করছে। কিন্তু ভালো না করলে ওই একই ব্যক্তি আবার বলবে, সে ভালো না। কারণ, মানসিকতাটা এমন, কেউ দলে না থাকলে সে-ই সেরা। আর কেউ দলে এলে সে সবচেয়ে খারাপ। এটি এমনই।’

তবে জিততে না পারলে এসব স্বাভাবিক বলেই মনে করেন শাদাব, ‘বাস্তবতা হচ্ছে আপনাকে জিততে হবে। যদি জিততে থাকেন, তাহলে সবকিছুই পুষিয়ে যাবে। যদি হারেন, তাহলে আপনি কতটা ভালো, আপনার দল কতটা ভালো খেলছিল এর আগে—তাতে কিছু যাবে–আসবে না। ফলে মূল ভাবনা হচ্ছে—জিততে হবে।’




No comments

Powered by Blogger.